English | Bangla
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার ক্লাব আয়োজিত “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ভাবনা” শীর্ষক সেমিনার

উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস জাতীয় অসংক্রামক রোগ হতে রক্ষায় খাদ্যভাস পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। পাশাপাশি কোমল পানীয়, ফাষ্টফুড ও জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ হতে বিরত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও ইউল্যাব সোস্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব এর যৌথ উদ্যোগে ০৭ এপ্রিল  ইউল্যাব অডিটরিয়াম ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ভাবনা ’ বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে আলোচনা করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জাতীয় স্বাস্থ্য আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ রশিদ-ই-মাহবুব, পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের সম্পাদক আব্দুস সোবহান, ইউল্যাব ইউনিভার্সিটি-র ভি.সি. প্রোফেসর ইমরান আহমেদ এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে হাঁটা ও সাইকেলের গুরুত্ব এবং করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র প্রোজেক্ট কোর্ডিনেটর আমিনুল ইসলাম সুজন।
ডাঃ রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অসংক্রামক রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলছে। এ সকল অংক্রামক রোগের চিকিৎসা খরচ অত্যন্ত ব্যায়বহুল। তিনি উচ্চ রক্তচাপসহ সকল অসংক্রামক রোগের জন্য জীবনাচারের পরিবর্তন ও খাদ্যাভ্যাস কে দায়ী করেন। তাই তিনি এ সকল রোগ নিয়ন্ত্রণে ফাষ্টফুড, জাঙ্কফুড, কোমল পানীয় বর্জন ও শারীরিক পরিশ্রমের পরামর্শ প্রদান করেন।

পরিবেশবিদ আব্দুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ২৭.৩% অসংক্রামক রোগের কারণে হয়ে থাকে। ত্র“টিপূর্ন খাদ্যাভাস পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর দিকে লÿ দিতে হবে। যানবাহনের বিষাক্ত ধোঁয়া, শব্দ দূষণ আমাদের পরিবেশ নষ্ট করছে। এ সকল পরিবেশ বিনষ্টকারী বিষয়গুলো উচ্চ রক্তচাসহ অন্যান্য অসংক্রামক সৃষ্টিতে সহায়ক। কিছু নিয়ম-কানুন ও জীবনাচারের পরিবর্তন এবং জাঙ্কফুড, ফাষ্টফুড, কোমল পানীয় ও এ্যালকোহল জাতীয় খাবার  বর্জনের  মাধ্যমে এ সকল কঠিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

প্রোফেসর ইমরান রহমান বলেন, আমরা অনেকেই প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লবন গ্রহণ করে থাকি। যা রক্তচাপ বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যের নানা রকম সমস্যা তৈরী করে। স্বাস্থ্যক্ষতি হতে রক্ষা পেতে হলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এর সাথে সাথে ধূমপানসহ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করতে হবে। হাটার পরিবেশ এবং শিশুদের খেলাধূলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম সেমিনারে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তরুণদের মাঝে কোমল পানীয়, ফাষ্টফুড ও জাঙ্কফুড গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। তিনি এ সকল রোগ প্রতিরোধে তরুণদের কোমল পানীয়, জাঙ্কফুড, ফাষ্টফুড বর্জন ও শারীরিক পরিশ্রমের পরমর্শ দেন। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যদ্রব্য গ্রহনের বিষয়ে নিজেদের সচেতনতার পাশপাশি অন্যকেও সচেতন করতে এগিয়ে আসার তিনি সকল কে আহবান জানান।