দিনব্যাপী কর্মশালায় অসংক্রামক রোগ কী, অসংক্রামক রোগের কারণ ও প্রতিকারের উপায় এবং করণীয় বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাসের নেতিবাচক পরিবর্তন অসংক্রামক রোগের জন্য দায়ী। বিশেষ করে, তাজা ফল-মূল ও শাকসব্জি না খেয়ে শিশুরা কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক্স ও প্যাকেটজাত জুস এর দিকে ধুঁকছে। যে কারণে শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া, টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি তাজা ফলমূল ও শাকসব্জি খেতে শিশূদের উৎসাহিত করতে হবে।
অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে হাঁটা ও সাইকেল চালানোর গুরুত্ব এবং হাঁটা ও সাইকেল চালনা উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টিতে করণীয় বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান। তিনি বলেন, মানুষ যতক্ষণ হাটে ততক্ষণই সুস্থ। সুস্থ্যতার জন্য হাটা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বল্প দূরত্বের যাতায়াত চাহিদা দূর করতেও হাঁটা প্রয়োজন। সাইকেল চালানোর মাধ্যমেও মানুষ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একজন মানুষ যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সাইকেল চালায়, তবে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। তাই স্থানীয় পর্যায়ে মানুষকে হাঁটতে ও সাইকেল চালাতে উৎসাহী করতে হবে। এজন্য হাঁটা ও সাইকেল চালানা উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
ইয়েস বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ইসহাক আলী মিজান এর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ম্যান ফর ম্যান এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল মতিন আকন্দ, আদর্শ মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আকবর, দুস্থ মানব উন্নয়ন সোসাইটি (দুমাউস) এর নির্বাহী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান, ভোলা ইন্টারভিলেজ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (বিডা) প্রধান নির্বাহী আখতার হোসেন লিটন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন।