English | Bangla
“আপনার শিশুকে হেঁটে স্কুলে পাঠান, হেটে যাতায়াত যানযট নিরসনে সহায়ক” শীর্ষক প্রচারণা কর্মসূচী

উপযোগী হাঁটার পরিবেশ ও মানসম্মত পাবলিক পরিবহন না থাকায় প্রাইভেট কারের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে হুইল চেয়ার, সাদা ছড়ি ও ক্র্যাচ ব্যবহারকারীদের চলাচলের জন্য সহায়ক কোন ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতি দুষ্টচক্রের ন্যয় যানজট, জ্বালানী অপচয়, দূষণ, দূর্ঘটনা, অবকাঠামোগত ব্যয়, যাতায়াত খরচ এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি করছে। যানজট থেকে পরিত্রাণ পেতে, যানজট হ্রাসে প্রাইভেট কার নয়, হেঁটে স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, স্বাচ্ছন্দে হাঁটার পরিবেশ এবং পাবলিক পরিবহণের মানোয়ন্নের দাবিতে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন  (পবা) এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে প্রচারণা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন  (পবা)’র নির্বাহী পরিচালক এর নেতৃত্বে পবার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

জ্বালানী সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে বিশ্ব কারমুক্ত দিবস পালিত হয়। এ বছর চার হাজারের উপর বিভিন্ন শহরে দিবসটি একযোগে পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও ২০০৬ সাল থেকে পরিবেশাবদী সংগঠনসমূহ দিবসটি পালন করে আসছে। আশা করা যায় আমাদের দেশে অতি শীঘ্রই প্রাইভেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দূষণ ও যানজটমুক্ত এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কারণ ২টি প্রাইভেট কার একটি বাসের সমান জায়গা নেয় এবং প্রায়শই দেখা যায় একটি প্রাইভেট গাড়িতে একজন যাত্রী চলাচল করে বা ফাকা থাকে অথচ একটি বাসে একটি ট্রিপে রুটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০০ যাত্রী বহন করে। প্রাইভেট কার শুধুমাত্র চলাচলের জন্যই বেশি জায়গা নেয় না বরং পার্কিং এর জন্য ১৬০ বর্গফুট জায়গা নেয় এবং ৯০ ভাগ সময় পার্কিং অবস্থায় থাকে। এজন্য প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

ঢাকা মেট্রেপলিটন এলাকায় প্রাইভেট কারে মাত্র ৩.৮ শতাংশ চলাচল হয় কিন্তু সড়ক পথের প্রায় ৭০ভাগ স্থান দখল করে রাখছে। অথচ বাস, রিকশা, সাইকেল ও হেঁটে ৯৬.২ শতাংশ যাতায়াত হলেও মাত্র ৩০ভাগ সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। যা যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট করছে। সারা বিশ্বে যখন প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সেখানে আমরা চলছি উল্টো পথে। নগর পরিকল্পনা মানুষের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না।