English | Bangla
মানুষের জীবন বাঁচাতে বিড়ি-সিগারেটসহ সবরকম তামাকের দাম বৃদ্ধির দাবি

শুধুমাত্র রাজস্ব ও কর্মসংস্থান হ্রাসের ভ্রান্ত অজুহাতে তামাকজাত দ্রব্যের মতো ক্ষতিকর পণ্যের নিয়ন্ত্রণ নমনীয় নীতি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার চেয়ে কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় জনপ্রতিনিধিদের তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধন ও কর বৃদ্ধির মতো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয় সমর্থন প্রদান করা প্রয়োজন। মানুষের জীবন বাচাঁতে বিড়ি-সিগারেট, জর্দ্দা-গুলসহ সকল কম মুল্যের তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং উচ্চ মুল্যের সিগারেটের উপর অব্যাহত কর আরোপ রাখতে হবে। গত ২৫ মে ২০১১ সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে এবং বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-র আয়োজনে আয়োজিত লিফলেট ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এই দাবি জানান।

তারা বলেন, তামাক ব্যবসায়ীরা ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে কর বৃদ্ধির বিরোধীতা করে আসছে। রোগ ও মত্যুর জন্য দায়ী তামাকজাত পন্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। প্রয়োজনে তামাকজাত দ্রব্য হতে উচ্চ কর আদায় করে, করের একটি অংশ কর্মসংস্থানে ব্যয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। তামাকের কারণে প্রতিবছর ৫৭,০০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ৩৮২০০০ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে, ১১০০০ হাজার কোটি টাকার চিকিৎসার জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়। কোম্পানিগুলোর মুনাফার জন্য রোগ-মৃত্যু আর পুঙ্গত্বের বৃদ্ধি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তামাক কোম্পানিগুলোর প্রতি নমনীয় নীতির অর্থই হচ্ছে মানুষের রোগ ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া।

এতে আরও বলা হয়, তামাক কোম্পানিগুলো মানুষ হত্যাকারী। তাই তাদের পক্ষে অবস্থান করা মানে মানুষকে মৃত্যুর দিকে প্ররোচিত করার শামিল। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে তামাক কোম্পানির পক্ষ ত্যাগ করার আহবান জানানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচীতে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।